তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই 30-দিনের প্রার্থনা নির্দেশিকা বিশ্বজুড়ে যিশুর অনুসারীদের তাদের মুসলিম প্রতিবেশীদের সম্পর্কে আরও জানতে এবং আমাদের ত্রাণকর্তা, যীশু খ্রিস্টের কাছ থেকে নতুন করে করুণা ও অনুগ্রহের জন্য স্বর্গের সিংহাসন কক্ষের কাছে আবেদন করার জন্য অনুপ্রাণিত ও সজ্জিত করেছে। .

বেশ কয়েক বছর আগে, একটি বৈশ্বিক গবেষণা প্রকল্প কিছু চমকপ্রদ খবর উন্মোচন করেছিল: বিশ্বের অবশিষ্ট অপ্রাপ্ত লোকদের মধ্যে 90+% - মুসলিম, হিন্দু এবং বৌদ্ধরা - 110টি মেগাসিটিতে বা কাছাকাছি বাস করে৷ অনুশীলনকারীরা এই বিশাল মহানগরীর দিকে তাদের ফোকাস পুনরায় সামঞ্জস্য করতে শুরু করলে, প্রার্থনার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কগুলি একই দিকে প্রার্থনা করতে শুরু করে।

মানসম্পন্ন গবেষণা, আন্তরিক প্রার্থনা এবং বলিদানমূলক সাক্ষ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলাফল অলৌকিক থেকে কম কিছু ছিল না। সাক্ষ্য, গল্প এবং তথ্যগুলি এই সত্যকে নিশ্চিত করতে শুরু করেছে যে আমরা একসাথে ভাল থাকি যখন আমাদের ঐক্য যীশুর ভালবাসা এবং ক্ষমা ছড়িয়ে দেওয়ার উপর ভিত্তি করে।

এই 2024 প্রার্থনা নির্দেশিকাটি আমাদের প্রতিবেশীদের জন্য গভীর সমবেদনা প্রসারিত করার পরবর্তী পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং তাদের দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ভাগ করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করে - যীশুর মাধ্যমে উপলব্ধ আশা এবং পরিত্রাণ। আমরা এই সংস্করণে অনেক অবদানকারীদের জন্য কৃতজ্ঞ, সেইসাথে যারা এই মহান শহরগুলিতে প্রার্থনা করে এবং পরিবেশন করে।

আসুন আমরা "জাতিদের মধ্যে তাঁহার নাম ঘোষণা করি, লোকেদের মধ্যে তাঁহার কর্মের কথা বলি।"

এটা গসপেল সম্পর্কে,
উইলিয়াম জে ডুবইস
সম্পাদক

আমরা এই মাসে মুসলমানদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য বিরতি দিয়েছি, এখানে এই পবিত্র মাসের চারটি মৌলিক উপাদান রয়েছে।

1. রমজান মুসলমানদের বছরের সবচেয়ে পবিত্র মাস।

মুসলমানরা বিশ্বাস করে এটি বছরের সবচেয়ে পবিত্র মাস। নবী মুহাম্মদের মতে, "যখন রমজান মাস শুরু হয়, তখন বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।" এই মাসেই ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন নাজিল হয়েছিল।

রমজান হল উদযাপন এবং পরিবার এবং প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর একটি সময়। রমজানের শেষে আরেকটি ছুটির দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, ঈদুল ফিতর, যাকে "রোজা ভাঙার উৎসব"ও বলা হয়। মুসলমানরা এই সময়ে উদযাপন করে এবং খাবার এবং উপহার ভাগ করে নেয়।

2. রমজান মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করে।

দিনের রোজা রমজানের পুরো 30 দিন ধরে চলে। এটি প্রার্থনা, দান এবং কুরআনের প্রতিফলনের সময়।

ছোট শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলা, অসুস্থ ব্যক্তি বা যারা ভ্রমণ করছেন তাদের ব্যতীত প্রতি বছর সকল মুসলমানকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে।

উপবাসের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক নয়, বরং মুসলমানরা যারা প্রয়োজনে তাদের সম্পর্কে সচেতন হতে পারে এবং তাদের সাহায্য করতে পারে। এটা ঈশ্বরের সাথে তাদের সম্পর্কের প্রতিফলনের সময়।

3. মুসলমানরা কিভাবে রোজা পালন করে?

ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুসলমানরা যে কোনো ধরনের খাবার খাওয়া, কোনো তরল পান করা, চুইংগাম, ধূমপান বা যেকোনো ধরনের যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে। এমনকি ওষুধ খাওয়াও নিষিদ্ধ।

যদি মুসলমানরা এই জিনিসগুলির মধ্যে কোনটি করে, তাহলে সেই দিনটির উপবাস বৈধ বলে বিবেচিত হবে না এবং তাদের অবশ্যই পরের দিন থেকে শুরু করতে হবে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির কারণে যে কিছু দিন তারা রোজা রাখেননি, তাদের রমজানের পরে সেই দিন কাযা করতে হবে বা রোজা রাখেনি এমন প্রত্যেক দিন প্রয়োজনে কাউকে খাবার দিতে হবে।

রোজা শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। রমজানের সময়, মুসলমানদের রাগ, হিংসা, অভিযোগ এবং অন্যান্য নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং কর্ম থেকে বিরত থাকারও আশা করা হয়। গান শোনা বা টেলিভিশন দেখার মতো কার্যকলাপগুলিও সীমিত হতে হবে।

4. পবিত্র মাসে এক দিনে কী ঘটে?

বেশিরভাগ মুসলমানের জন্য রমজানের একটি সাধারণ দিন নিম্নলিখিতগুলি নিয়ে গঠিত:

• ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া (সেহরী)
• ফজরের নামাজ আদায় করা
• দিনের আলোতে রোজা রাখা
• রোজা ভঙ্গ করা (ইফতার)
• সান্ধ্য প্রার্থনা
• রমজানে বিশেষ দোয়া (তারাবীহ)

রোজা থাকা সত্ত্বেও মুসলমানরা এখনও কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে যায়। বেশিরভাগ মুসলিম দেশ পবিত্র মাসে যারা রোজা রাখে তাদের বিবেচনায় কাজের সময় কমিয়ে দেয়।

সূর্যাস্তের সময় রোজা ভাঙার জন্য হালকা খাবার (ইফতার) পরিবেশন করা হয়। বেশিরভাগ মুসলমান সন্ধ্যার নামাজের জন্য মসজিদে যান এবং তারপরে আরেকটি বিশেষ রমজানের নামাজ পড়েন।

পরে সন্ধ্যায় তারা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়া একটি বড় খাবার খাবে।

ইসলাম ধর্ম পাঁচটি প্রধান স্তম্ভ অনুসারে বেঁচে থাকে যা সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন:

1. শাহাদা: আকীদা আবৃত্তি করা, "আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মোহাম্মদ তার নবী।" এটি জন্মের সময় একটি শিশুর শোনা প্রথম শব্দ হিসাবে বলা হয় এবং মুসলমানরা তাদের মৃত্যুর আগে এই শব্দগুলিকে শেষ শব্দ বলে মনে করে। একজন অমুসলিম শাহাদা বলার মাধ্যমে এবং আন্তরিকভাবে এর অর্থ করে ইসলাম গ্রহণ করতে পারে

2. নামাজ: আচার প্রার্থনা প্রতিদিন পাঁচবার সঞ্চালিত হয়. দিনের প্রতিটি সময় একটি অনন্য নাম রয়েছে: ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং ইশা।

3. যাকাত: দরিদ্রদের জন্য বাধ্যতামূলক এবং স্বেচ্ছায় দান। হানাফী মাযহাবে দানের একটি সূত্র সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যাকাত হল 2.5% সম্পদ যা এক চান্দ্র বছর ধরে কারোর দখলে থাকে। যদি সেই সম্পদের পরিমাণ "নিসাব" নামে একটি প্রান্তিক সংখ্যার চেয়ে কম হয়, তাহলে কোন যাকাত প্রদেয় হবে না।

4. সাওম: বিশেষ করে "পবিত্র" রমজান মাসে রোজা রাখা।

5. হজ: মক্কায় একটি বার্ষিক ইসলামী তীর্থযাত্রা যা প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার করা উচিত।